ঢাকাSaturday , 27 June 2020
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভূরুঙ্গামারীতে নিম্নাঞ্চল পাবিত, তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর জমির ফসল

Link Copied!

ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গত সাত দিনের টানা বৃষ্টি, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও ভারী বষর্ণের কারণে উপজেলার দুধকুমার, ফুলকুমার, কালজানী, সংকোশ, গঙ্গাধরসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল পাবিত হয়েছে।

কয়েকদিনের অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে চরাঞ্চলের আবাদি জমি সহ দ্বীপচরগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। খাল, বিল, নালা, ডোবা, পুকুর, জলাশয়গুলো পানিতে টইটুম্বুর হয়ে গেছে। নিমজ্জিত হয়েছে পাট, ভুট্টা, কাউন, চিনা, বাদাম, মরিচ, পটল, ঝিংগাসহ নানা রকম সবজি ক্ষেত ও শত শত হেক্টর আমন ধানের বীজতলা। নষ্ট হয়ে গেছে বেশ কিছু এলাকার আউশ ধান।

উপজেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সদর ইউনিয়নের নলেয়া, কামাত আঙ্গারিয়া, চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর, পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা, পাইকডাঙ্গা, সোনাহাট ব্রীজের পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিনপাড়, বলদিয়া ইউনিয়নের হেলডাঙ্গা, আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের ধাউরারকুঠি, তিলাই ও শিলখুড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে।

পাশাপাশি নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় লোকজন বাধ্য হয়ে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে আগাম বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। নদী ভাঙ্গনের ফলে বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ন জনপদ।বদলে যাচ্ছে এলাকার মানচিত্র। ফলে আতংকিত হয়ে পরেছে ভাঙ্গনকবলিত এলাকার মানুষ। বসতভিটা, বাঁশঝার, গাছবাগান ও আবাদী জমি চলে যাচ্ছে নদীগর্ভে। বসতভিটা হারিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে হাহাকার করছে শত শত মানুষ।

উপজলার সোনাহাট ইউনিয়নের ব্রীজ পাড়ের বাসিন্দা জুলহাস হোসেন, খোকন মিয়াসহ অনেকে জানান, অতিবৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়ির চারদিক ভরে গেছে। এতে বন্যা আতঙ্কে পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষেরা।

তিলাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরিদুল হক শাহিন শিকদার, চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফজলুল হক, শিলখুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন ইউসুফের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পাবিত হয়েছে। যথাযধ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন । তারা অপেক্ষা করছেন সরকারী সহযোগিতার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন ।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলাম বলেন, আমি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শণ করেছি। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি ও নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।