ঢাকাWednesday , 15 January 2020
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ভূরুঙ্গামারীতে তীব্র শীতে হুমকির মুখে বীজতলা শঙ্কিত কৃষকরা

Link Copied!

ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে তীব্র শীত ও টানা শৈত্য প্রবাহে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ইরি-বোরোর বীজতলা। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হওয়ায় আসন্ন ইরি-বোরো আবাদ লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে হুমকির মুখে পরবে বলে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শতাধিক কৃষকের বীজতলার গাছ গুলো সবুজ ও সতেজ না হয়ে হলুদ আর ফ্যাকাসে রং ধারন করেছে। শীতের তীব্রতায় বীজতলার অনেক চারা গাছ মরে যেতে শুরু করেছে। উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার, চরভূরুঙ্গামারীর শফিয়ার ও পাইকেরছড়ার সেলিম বলেন, ইরি-বোরো ধান রোপন করতে উন্নত জাতের ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ জাতের বীজের বীজতলা তৈরী করি। চারা গাছগুলো বেশ পুষ্ট হলেও গত দুই সপ্তাহ ধরে টানা শীতে বীজতলা হলুদ হয়ে ফ্যাকাসে রং ধারন করেছে। অনেক চারাগাছ শীতের প্রকোপে মারা যাচ্ছে। জমির জন্য চারা গাছ সংকট দেখা দিতে পারে। বীজতলার এ অবস্থায় করনীয় বিষয়ে পরামর্শ নিতে কৃষি বিভাগের কোনো কর্মীর দেখা পাওয়া যায় না। তাই বোরো আবাদ নিয়ে আমরা চিন্তিত। প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে সেই বীজতলা প্রায় নষ্ট হতে বসেছে। ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় বীজ তলা থেকে আশানুরুপ চারা পাবেন না বলে ধারনা তাদের। যে টুকু নষ্ট হয়েছে তার বাকীটুকু নষ্ট হলে চারাগাছের অভাবে ইরি-বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হতে পারে বলে জানান।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে আসন্ন মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৪৯৯২ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এ পর্যন্ত ৫৪৩ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বীজতলায় কিছুটা সমস্যা হতে পারে। দুই চারদিন রোদ পেলে বোরো বীজতলায় বড় ধরনের কোনো সমস্যা হবে না। শীত বা কুয়াশা থেকে বোরো বীজতলা রক্ষার জন্য সাদা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখা ও বীজতলার মাঝ খানে ড্রেন করে তাতে সেচ দিয়ে চারাগাছের পাতা ও ডগা থেকে কুয়াশার ঠান্ডা পানি ফেলে দিতে চাষীদের প্রতি পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। কৃষকের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন আমাদের জনবল সংকট তাই মাঠে সঠিক সময়ে কৃষকদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।