ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ। যে কোন সময় সেতু ভেঙ্গে ঘটতে পারে বড় রকমের দূর্ঘটনা।
উপজেলার সোনাহাট ইউনিয়নের ক্যাম্পের মোড় এলাকায় আশির দশকে প্রায় ২০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু র্নিমাণ করা হয়। সেতুটি দিয়ে কচাকাটা থানার কচাকাটা, মাদারগঞ্জ, সুবল পাড় এবং ভূরুঙ্গামারী থানার সোনাহাট, শাহীবাজার, বলদিয়া, কাশিম বাজার এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। কয়েক বছর আগে সেতুর পাটাতনের কয়েক স্থান ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে বেইলী ব্রীজ নির্মানে ব্যবহৃত ইস্পাতের প্লেট দিয়ে গর্তগুলো ঢেকে দেয়া হয়। যানবহনের চাপে ইস্পাতের প্লেট ক্ষয়ে পূনরায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও সেতুর পাটাতনের আরো কয়েক স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর পিলারে ফাটল ধরেছে এবং এক পার্শে¦র রেলিং ভেঙ্গে গেছে। সোনাহাট স্থল বন্দর চালু হওয়ায় সেতুটির উপর দিয়ে যানবহন চলাচলের মাত্রা বেড়ে গেছে। প্রয়োজনের তাগিদে মানুষজন প্রতিনিয়ত জানমালের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করছে। এলাকাবাসী জানায়, যে কোন সময় সেতুটি ভেঙ্গে প্রাণহানী সহ বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেতুটি ভেঙ্গে গেলে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সদরের সাথে কচাকাটা, মাদারগঞ্জ, সুবল পাড়, কাশিম বাজার, শাহীবাজার, বলদিয়ার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। এতে ওই এলাকাগুলোর কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসা ও ব্যবসা বাণিজ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
সোনাহাট ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী মোল্লা জানান, ‘দুই উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের লোকজন সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করে।,
সেতুর বিষয়ে কথা বলতে উপজেলা প্রকৌশলী এন্তাজুর রহমানের মুঠোফেনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কুড়িগ্রাম জেলা সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন জানান, ‘সেতুটি আয়তন বৃদ্ধি সহ যাবতীয় কাজের নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে, জুলাই মাসে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তিনি আরও জানান আগামী বছর সেতু নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হবে।’
ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর স্থানে দ্রুত নতুন সেতু নির্মানের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসীর।