ঐশ্বর্য সাহা,জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: পৃথিবীর আলো দেখায় মা-বাবা।ছোট থেকে বড় করতে থাকে আদরের সন্তানদের।তাদের বড় করতে করতে তারাই যে বৃদ্ধ হয়ে যায় সেদিকে খেয়ালই থাকে না মা-বাবাদের।বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তারা অবহেলিত হয়ে যায় তাদের আদরের সন্তানের কাছে।
বাবা মারা গেছে অন্য একটি বাড়ির ছাদে অথচ কাল থেকে যে বাবাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না সে ব্যাপারে সন্তানের নেই কোন চিন্তা।মুঠোফোনে কয়েকজনের কাছে ফোন করেই নিজেদের দায়িত্ব যেন শেষ হয়ে গেছিল সন্তানের।এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌরসভার বাজারপাড়ায়।তিনি জীবননগর বাজারের মিষ্টি ব্যবসায়ী শ্রী প্রহল্লাদ ঘোষের বাবা শ্রী চন্ডী ঘোষ।
প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষায় , দাদা (মৃত ব্যক্তি) প্রতিদিন দুপুরে গরমের জন্য আমার নির্মানাহীন বাড়ির ৩তলার একটি ঘরে ঘুমাতে আসতো আবার সন্ধ্যা হলে চলে যেতো। কাল সন্ধ্যায় ছাদবাগানে আমার ছেলে জল দিতে ফিরে এসে আমাকে বলে মামা বমি করে ছাদে শুয়ে আছে।আমি তার বৌমা ‘কে জানালে সে ততটা গুরুত্ব দেয় না।আমরাও ভেবেছি সে হয়তো চলে গেছে।আজ বেলা ১২টার দিকে আমার মেয়ে ছাদে ব্যাগ আনতে গিয়ে ওনাকে পরে থাকতে দেখে আমাকে ডাকে।আমি ওনার বৌমা,নাতিদের ডেকে ছাদে গিয়ে ওনাকে মৃত অবস্থাতে পায়।
শ্রী চন্ডী ঘোষের এরূপ মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।