এন এম সিকদার ,স্টাফ রিপোর্টার।
শুক্রবার (২৮)জুন পার্বত্য বান্দরবানের লামা উপজেলায় ভূমি বিরোধের জের ধরে সকাল ৮টায় সরই ইউনিয়নের নুরুচ্ছফার বাড়িতে সংঘবদ্ধ প্রতিপক্ষের হামলায় ও দায়ের কোপে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের আত্বীয় স্বজনরা উদ্ধার করে লামা হাসপাতালে নিয়ে আসে। আহতদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়া ডাক্তার তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
প্রতিপক্ষের হামলায় আহতরা হলেন, লামার সরই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বটতলী পাড়ার খলিলুর রহমানের ছেলে মো. ফরিদুল আলম (৪৩), একই এলাকার বদিউল আলমের স্ত্রী নুরুচ্ছফা বেগম (৪০) ও প্রবাসী মো. মূসার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (২৫)।
লামা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ বিবি ফাতেমা বলেন, তিনজনের হাতে দায়ের কোপ রয়েছে। দায়ের কোপে অনেকাংশ কাটা যাওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। এছাড়া তিনজনের শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আহত ফরিদুল আলম ও নুরুচ্ছফা বেগমের বড় ভাই মো. ইসলাম বলেন, সকালে আমার ভাই-বোনরা জমিনে কাজ করতে যায়। নুরুচ্ছফার বাড়ির দক্ষিণপাশে র্তারা কাজ করছিল। জায়গার সীমানা নিয়ে পার্শবর্তী মিয়ার স্ত্রী মমতাজ বেগমের (৩৮) সাথে আমাদের মামলা ও বিরোধ আছে। সেই বিরোধের জের ধরে শুক্রবার সকালে তারা সবাই মিলে মহেশখালী হতে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে এসে হামলা চালায়। এসময় তবু মিয়ার ছোট স্ত্রী মমতাজ বেগম, তার ছেলে আবুল কাসেম (২২), আবুল বাশার (১৯) ও মহেশখালী হতে আনা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মো. করিম (২৫) সহ আরো ১২/১৩ জন সন্ত্রাসীরা দা, লাঠি-সোটা নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আমাদের তিনজনকে গুরুতর আহত করে। পরে আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মো. বাবুল বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। এইভাবে মানুষ মানুষকে কুপিয়ে আহত করতে পারে তা আমার জানা ছিলনা। মমতাজ বেগমের ছেলে আবুল কাসেম ও আবুল বাশার আগে থেকেই উশৃঙ্খল প্রকৃতির।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক খালেদ মোশারফ বলেন, খবর পেয়ে আমি লামা হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাই এবং চিকিৎসা পেতে সহায়তা করি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।