ঢাকাThursday , 19 November 2020
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পুলিশ মানুষের আস্থার জায়গা প্রমাণ করলেন মুকসুদপুরের ওসি

Link Copied!

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :

মধ্যবয়সী আটপৌঢ়ে এক নারী সঙ্গে তার সাদাসিদে লুঙ্গি,পাঞ্জাবি পরিহিত স্বামী একটি কাপড়ে মোড়ানো পুটলা (ব্যাগ) সহ থানায় এসে হাজির। কোন প্রকার ভনিতা ছাড়াই আমাকে বললেন, বাবা আমার পুটলার মধ্যে টাকা আছে। এগুলো দুই দিনের জন্য থানায় রাখার ব্যবস্থা করেন। আদ্যোপান্ত না বুঝে তাদেরকে বিনয়ের সাথে বসতে বলি। এরপর বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।
বিষযটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর।
সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, মুকসুদপুরের আথালদিয়া গ্রামের মোঃ আক্কাছ মোল্লা ও তার স্ত্রী সালমা বেগম। স্বপরিবারে তারা গাজীপুর জেলার কাশিমপুর এলাকায় বসবাস করেন। আক্কাছ মোল্লা ছোট পদে বেক্সিমকোতে চাকরি করতেন। কয়েকদিন আগে অবসরে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সালমা বেগম তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২০ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়ে বিক্রয় মূল্য হিসেবে ৬ লাখ টাকা পান। এত টাকা কোথায় রাখবেন ভেবে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েন। এক পর্যায় তার মনে হয় পুলিশই তার সবচেয়ে ভাল আশ্রয়স্থল।
যথারীতি তার ভাবনার জায়গাটা অক্ষুন্ন রেখে তিনি তার স্বামীকে নিয়ে থানায় আসেন। তার পুটলার থেকে মধ্যে এলমেলো করে রাখা বিভিন্ন মানের নোটগুলোকের বের করলেন। গণনা শেষে দেখা যায় সেখানে ৫ লাথ ৯০ হাজার টাকা রয়েছে। জমি গ্রহীতাকে বিষয়টি জানালে অবশিষ্ট ১০ হাজার টাকাও তাকে প্রদান করেন।
এরপর টাকাগুলো জিডি করে থানা হেফাজতে রাখা হয়। গত ১৫ নভেম্বার পুলিশের সহয়তায় এশিয়া ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় সালমা বেগমের নামে একটি একাউন্ট নম্বর খুলে সেখানে ওই টাকাগুলো জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
সালমা বেগম জানান, টাকাগুলো নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। ‘কি করব – কোথায় ’ সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। থানায় গিয়ে এতোটা সহযোগিতা পাবো ভাবতেই পারিনি। বড় স্যার (ও,সি) খুর ভাল মনের মানুষ। আমাদের সাথে খবু ভাল ব্যবহার করেছেন। একটুও বিরক্ত হননি। আমরা ওনার জন্য দোয়া করি।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ও,সি) আবু বকর বলেন, কাজটি করতে পেরে আমি পরিতৃপ্ত। মানবিক ও নৈকিতার জায়গা থেকে আমি একাজটি করেছি। পুলিশ মানুষের আশ্রয়ের জায়গা এ বিশ্বাসকে আমি প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করেছি। এতে পুলিশের প্রতি সাধারন মানুষের আস্থা বাড়বে। পাশপাশি পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ও,সি) আবু বকরের মহনুভবতা জেলার সর্বমহলে প্রশংসিত হয়।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।