মোঃ আলী হাসান, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসরোধে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের ঘোষিত লকডাউনের মধ্যেই জেলার পাঁচবিবি উপজেলায় আজ মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের বৃহৎ পশুর হাট বসেছে। পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এই হাট বসেছে। জেলা প্রশাসনের ঘোষিত লকডাউনের ঘোষণায় কাঁচা বাজার, ঔষধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরী সেবা ছাড়া সকল ধরনের বিপণিবিতান,শপিংমল ও দোকান পাঠ বন্ধ রাখার কঠোর নির্দেশনা থাকলেও আজ মঙ্গলবার পাঁচবিবিতে বসেছে পশুর হাট।
ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ে নেই কোন আকঙ্ক। পৌর মেয়রের দাবি হাট বার হওয়ায় নির্দেশনার কথা না জেনে হাটে লোকজন চলে এসেছে। তবে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার অবগত না বলে জানান তারা।
জানা যায়, রাজশাহী বিভাগের মধ্যে জয়পুরহাট জেলা করোনাভাইরাসের হটস্পট হওয়ায় জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। করোনাভাইরাসরোধে সচেতনতার জন্য মাইকিং করা, সেনাবাহীনির টহল জোরদার করা, মতবিনিময় করলেও জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় আজ মঙ্গলবার বসেছে বিশাল পশুরহাট। উত্তরবঙ্গের বৃহৎ এ পশুরহাটে ৩০-৩৫ টি জেলার ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম ঘটে। সকাল থেকেই হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে। এই হাটে ৩০-৩৫ হাজার লোকের সমাগম ঘটে বলে হাট-ইজাদারও জানিয়েছে। পশুর হাট ঘুরে দেখা যায় রোদে প্রচন্ড ভিড়ের মধ্যে মানুষ পশু নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, যাদের অনেকের মুখেই নেই কোন মাস্ক।
জেলার সদর উপজেলার ধলাহার গ্রামের নুরুল ইসলাম ও দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার কাঠলা গ্রামের আনিছুর রহমান জানান, গরুহাটি লাগবে বলে আমরা খবর পেয়েছি তাই হাটে এসেছি।
পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব জানান হাটবার হওয়ায় ভুল করে হাটে লোকজন চলে এসেছে। তিনি বলেন বেলা একটার মধ্যে হাট ভেঙ্গে দেওয়া হবে।
পাঁচবিবি উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাদিম সারওয়ার জানান, শুনেছি হাট লাগার কথা তবে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন মুঠোফোনে জানান,পশুরহাট লেগেছে বলে আমি জানিনা এই কথা বলে বলে মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন।
পুলিশ সুপার মো. সালাম কবির জানান পশুহাট লেগেছে বলে তার জানা নেই, তবে তিনি জানান আমি এখনই হাট বন্ধ করার ব্যবস্থা করছি।