মনজু হোসেন পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া ও সালবাহান সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত আসছে ভারতীয় গরু। তবে এসব গরুর মধ্যে অনেক ‘জীবাণুবাহী’ গরুও রয়েছে। কোনো রকম স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই দেশে প্রবেশ করছে এসব গরু। যা খাওয়ার পরে মানব দেহে নানা ধরনের রোগ সংক্রমিত হচ্ছে।
এসব গরুর চালান দেশে প্রবেশ করার সময় মারা যাওয়া দু-চারটি গরু ফেলে রাখাও হয় চারণভূমিতে। শুধু তাই নয়, এসব গরু মারা গেলেও জীবজন্তু মুখ দেয় না। ‘জীবাণুবাহী’ এসব গরু পঞ্চগড়ের মাংস বাজার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকছে না, তা ছড়িয়ে যাচ্ছে দেশের নানান প্রান্তে।
জানা যায়, মোটাতাজাকরণে এসব গরুর দেহে ধারাবাহিক অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন বেপারিরা। আর মাংসের দোকানে বিক্রির আগে গরুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার নিয়ম থাকলেও তা কেবল লোক দেখানো।
এ দিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রুগ্ন গরুকে ধারাবাহিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে মোটাতাজা করে বাজারে বিক্রি করা হয়। এসব গরুর মাংস খেয়ে মানবদেহে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। গরুর দেহে ব্যবহৃত হাইডোজ এন্টিবায়োটিক ছড়াচ্ছে মানবদেহেও। গরুর দেহে প্রয়োগ করা এন্টিবায়োটিকের মেয়াদ থাকে সপ্তাহ থেকে ১০ দিন। এর মধ্যেই গরু কেটেকুটে মাংস খাওয়া হয়। ফলে হাইডোজ এন্টিবায়োটিক মানবদেহে প্রবেশ করে। আর রোগ জীবাণু আক্রান্ত হলেও এন্টিবায়োটিক কাজ করে না