যাদের কোলে-পিঠে মাশরাফির বাল্যকাল কেটেছে, এদের মধ্যে অন্যতম মাসুদ আহম্মেদ। তার পরিবার ঢাকায় থাকে। করোনাভাইরাসে সৃষ্ট অবস্থার কারণে পরিবারের সবাই তাকে ঢাকায় ফেরার অনুরোধ করলেও তিনি সেটা করেননি। সঙ্কটময় এই অবস্থায় হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মাসুদ আহম্মেদ।
করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকেই কাজ করে আসছেন মাশরাফি এবং তার ফাউন্ডেশন। করোনাভাইরাসের কারণে স্থবিরতা নেমে আসায় কয়েকদিনের মধ্যেই কর্মহীন হয়ে পড়েন নড়াইলের রিকশা-ভ্যানচালক, রাস্তার পাশের চা বিক্রেতা, হকাররা। সবার আগে এসব মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান মাশরাফি। এমন তিনশ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন তিনি।
এরআগে কর্মহীন মানুষদের সাহায্যে বিসিবি থেকে পাওয়া এক মাসের বেতনের অর্ধেকটা দান করেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। এরপর নিজ অর্থায়নেই নড়াইলে ১ হাজার ২০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন তিনি।
নিজ অর্থায়নেই নড়াইলের ডাক্তার ও সংবাদকর্মীদের জন্য ৫০০ পিপিই (পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুয়েপমেন্ট) দেন তিনি। এ ছাড়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে তার নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম।
এরপর নড়াইল সদর হাসপাতালের গেটে জীবাণুনাশক কক্ষ স্থাপন করেছে মাশরাফির নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগী, চিকিৎসক, নার্স, সাংবাদিক, অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ অন্যান্যদের সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এই জীবাণুনাশক কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
এ ছাড়া নড়াইল কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বন্দীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মাশরাফি। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার সাবান, মাস্ক, গ্লাভস এবং স্যানিটাইজার বিতরণ করেছেন তিনি।
এ দিকে এই করোনা মোকাবিলা করতে এখন সারা দেশের চলছে অনেক কর্মকান্ড। আর এরই মধ্যে নিজের নির্বাচিত জেলায় করোনা ঠেকাতে অনেক উদ্ভাবনি পদ্ধতি নিয়েছেন মাশরাফি। তার এই কর্ম কান্ড সারা দেশেই ব্যাপক প্রসংশিত হচ্ছে। আর তার এই কাজের প্রসংশা করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।