ঢাকাSunday , 15 April 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দুটি অবুজ মনের ভালোবাসা

Link Copied!

লেখকঃ মিসেস তুহিন!

দৃশ্য – ১ঃ  সকাল ৯:০০টা
দরজায় হঠাৎ শব্দ ক্লিং ……… ক্লিং…….ক্লি
দরজা খুলে ওমা বউমা যে…..!!!! দেখ কান্ড … তুমি আসবে একটা ফোন করবে না।
এমনিই চলে আসলাম মা।
ভালো করেছো আসো ভেতরে আসো।(তুহিনের মা)
ল্যাগেজটা ড্রইং রুমে রেখে।মা তুহিন কোথায় ?
অফিসে গেছে কি ?
ওর কথা আর বলো না। সেই কখন থেকে ডাকছি ওঠছেই না।আমার কথা কি আর শোনে মা। যাক এখন তুমি এসেছো দেখোতো ওঠে কিনা?

তারপর তানিমা বেডরুমে গিয়ে তুহিনের মাথার পাশে বসে।দেখো কি আরামে ঘুমচ্ছে।সারা রাত যে কি করে এতো বেলা পর্যন্ত ঘুমোয়।ওর ব্যাবসা যে কিভাবে চলছে কে জানে ?

তানিমা হাত দিয়ে তুহিনকে নাড়াচ্ছে……
উফফফফ মা বিরক্ত করো নাতো।
তানিমা আবারো নাড়া দেয়
কি যন্ত্রনা…… বললাম না আজ অফিস যাবো না।তুমি যাওতো এখন।
তানিমা:চলে যাবো ? এতো দূর থেকে আসলাম কেবল।
তুহিন:(মনে মনে)গলাটাতো মার মতো না। চোখ টান টান করে তাকিয়ে……..ভূত ভূত।মা……. ভূত চেচিঁয়ে ওঠে।
মা পাশের রুম থেকে এসে।কোথায় ভূত ? কিসের ভূত ?
এইযে তানিমার রুপ ধরে এসেছে।আরে গাঁধা এ তোর বউ তানিমা।
তানিমা……..!!!!আমার বউ তানিমা।এখানে কি করছে। ওতো রাজশাহীতে থাকে।
হ্যাঁ এইতো কিছুক্ষণ আগে আসলো।আরো বেশি বেলা করে ঘুমো তাহলেতো এমন হ্যালোজিনেশন হবেইতো।বলতে বলতে মা চলে গেলো।

তানিমা হাসতে হাসতে বললো…….আমাকে দেখে ভয় পেলে যে…???আর আমাকেও চিনতে পারলে না…?????
আরে ধ্যাত।আমিতো তোমাকে নিয়েই সপ্ন দেখছিলাম।দুজন নদীর পাড়ে বসে আছি।তুমি আমার কাঁধে মাথাটা রাখছো।আর আমি তোমার হাতটা ধরে কল্পনার জগতে ভাসছিলাম।ঠিক এই মূহর্তে ভাবলাম মা বিরক্ত করছে কিন্তু চোখ মেলে তোমাকে দেখছি তাইলে ভয় পাবো না বলো…?
ও তাহলে তুমি আমায় নিয়ে ভাবো…?
আমাকে এক গ্লাস পানি দাওতো।খুব ভয় পাইছিলাম।
আরে তোমায় নিয়ে ভাববোনাতো কাকে নিয়ে ভাববো
।নাইকা ক্যাটরিনা……?
আমি মনে করলাম………
তুমি কি পানি দিবে…?
আচ্ছা আচ্ছা দিচ্ছি।

তা মহারানী কাউকে কিছু না জানিয়ে সকাল সকাল চলে এলে যে…?
কেনো নিষেধ আছে নাকি…?
আরে না।হঠাত করে আসলেতো তাই।
হুম।তা আপনি আমায় না জানিয়ে হুঠ করে রাজশাহীতে চলে আসেন আর আমি আমার স্বামির বাসায় আসতে পারিনা………?

আচ্ছা তুমি অফিস যাবে না কেনো…?
দূর বাবা ভালো লাগেনা সকাল সকাল ওঠে অফিস যেতে।তুমি একটু বসো না কতদিন তোমাই দেখিনি…..!!!!
সরো অনেকক্ষণ আসছি। মাকে গিয়ে এবার একটু সাহায্য করি।তানিমা ওঠতে যাবে এমন সময় হাতটা ধরে বসোনা একটু কত……….দিন দেখিনি।
এসেছি এখন দেখবে সরো।
না…………
ছারো……… মা কিন্তু দেখে ফেলবে।
ছারো আমাকে……..ওঠে ফ্রেশ হয়ে এসো নাস্তা খাবে। যাও।

তুহিন নাস্তাসেরে পানি খাচ্ছে এই মূহর্তে দেখলো তার মহারাণী গোসল সেরে ভেজা চুলে হাত নাড়তে নাড়তে যাচ্ছে।তানিমা যেই ড্রেসিং টেবিলে বসতে যাচ্ছিলো ওমনি তুহিন তানিমার হাতটা ধরে ঘুরিয়ে নিলো এবং তার মুখটা তানিমার মুখের উপর রাখলো।তানিমা তুহিনকে ধরে অবাক চোখে চেয়ে রইলো।যেই কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছিলো অমনি তানিমা তুহিনকে ধাক্কা মেরে বেডে ফেলে দিলো।দিয়ে ড্রেসিং এ বসলো।তুহিন ও নাছোড় বান্দা পিছন দিক দিক দিয়ে তানিমাকে জরিয়ে ধরল। তারপর ড্রেসিং টেবিলে তাকিয়ে কি ব্যাপার মহারাণী আজ এতো দেমাক কিসের…. ?তানিমা মুচকি হাসি দিলো।

তারপর তানিমা বললো বিকেলে আমায় নিয়ে ঘুরতে যাবে কিন্তু।

দুপুরের খাবার শেষ করতে না করতেই তানিমাকে কোলে তুলে নিলো।তানিমা একদম অপ্রস্তুত ছিলো।
কি শুরু করলা…….? ছারো ছারো পড়ে যাবোতো……
পড়তে দিলেতো।
আচ্ছা আমি না থাকলে কি করবে বলোতো…..?
সেটা পড়ে ভাববো। এখনতো কাছে আছো তাইনা…?
তানিমার ভিষণ লজ্জা করে।মুখে না না যতই বলুক আসলে মনে মনে সে এটাই চায় যে ____তার স্বামি তাকে অনেক ভালোবাসুক……………………..

…………..সমাপ্ত………. ….

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।