ঢাকাWednesday , 15 January 2020
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

“জালিয়াতি নয়, নিয়ম মেনেই পিএইচডি প্রদান”, নির্দোষ জবি প্রক্টর

Link Copied!

জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, কোন ডিগ্রী প্রদানের ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কিংবা প্রশাসনে নেই। পিএইচডি ডিগ্রী প্রদান করেন একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট। এছাড়া পিএইচডি ডিগ্রী দেয়ার জন্য যে বোর্ড থাকে তারাই সুপারিশ করেন পিএইচপি প্রদানের জন্য। এতে উপাচার্যের কোন এখতিয়ার নেই।
সম্প্রতি কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল এর পিএইচডি জালিয়াতির সংবাদ- প্রকাশের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম কানুন জানেন না এমন মূর্খ সাংবাদিকরাই পারে এধরনের সংবাদ লিখতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি এর নিয়ম নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলের নিয়ম ছিল ‘যদি কোন বিভাগের শিক্ষক ওই বিভাগেই পিএইচডি করেন তবে তিনি ২ বছর পরেই পিএইচডি জমা দিতে পারবেন। সে নিয়ম অনুসারে দর্শন বিভাগের শিক্ষক হাফিজুল ইসলামকে পিএইডি প্রদান করা হয় ৩৭ তম একাডেমিক কাউন্সিলে। এর ১ বছর পর একই নিয়মে মোস্তফা কামলকে পিএইচডি ডিগ্রী প্রদান করা হয়। এ নিয়মটি শুধু মাত্র ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের জন্যই প্রযোজ্য। তাছাড়া এই নিয়মটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়সহ পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে। তাছাড়া বর্তমান প্রক্টর মোস্তফা কামালকে পিএইচডি দেয়া হয়েছে ৩৯ তম একাডেমিক কাউন্সিলে। সুতারাং তার পিএইচডি যাবতীয় নিয়ম মেনেই দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল কে ৩৯ তম সিন্ডিকেট সভায় পিএইচপি প্রদান করা হয়। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘বিভিন্ন ধর্মে নারীর অধিকার: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ। বিষয়টি নিয়ে ড. মোস্তফা কামাল এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি ৩১ মে ২০১০ সালে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করি এবং ১৩ মে ২০১৩ তে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করি। আমার চাকুরী ছিল ৩ বছর এর ১৩ দিন কম। এছাড়া ১ টি প্রকাশনার পরিবর্তে আমার ছিল ৩ প্রকাশনা এবং ২ টি প্রথম শ্রেনির পরিবর্তে আমার ছিল ৩ টি প্রথম শ্রেনি। আমার যোগ্যতার কোন কমতি ছিল না এছাড়া আমার একাডেমিক ফলাফল নিয়ে যেসব কথা বলো হচ্ছে তা মনগড়া। এসব করা হয়েছে শুধু মাত্র আমাকে হেয় করার জন্য। তাছাড়া আমি প্রক্টর হওয়ার পর বিভিন্ন অনৈতিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় একশ্রেনির লোক এটা করেছে।
 বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার ওহিদুজ্জামান বলেন, মোস্তফা কামালকে কে পদন্নতি দেয়া হয়েছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। যাবতীয় নিয়ম কানুন ও আইন মেনেই পিএইচডি ডিগ্রী প্রদান করা হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।