এম সাঈদ।।
ছদ্মবেশে হত্যা মামলার আসামী ধরলেন শার্শা থানার উপ-পরিদর্শক মামুনূর রশিদ। যশোর জেলার শার্শা থানার আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্র শাহ-পরান (১২) হত্যাকান্ডের মূল আসামী হাফেজ হাফিজুর রহমানকে খুলনার দিঘলিয়া থেকে আটক করেন।
বুধবার সকালে শার্শা থানা চত্বরে সহকারী পুলিশ সুপার নাভারণ সার্কেল জুয়েল ইমরান এক প্রেস ব্রিফিং এ জানান, উক্ত মামলার মূল আসামী হাফেজ হাফিজুর রহমান খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলা এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল। এরপর এসআই মামুনূর রশিদ সংগীয় ফোর্স নাইমুর রহমানকে নিয়া ৮ জুন হইতে ছদ্মবেশে খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সম্ভাব্য সকল স্থানে উক্ত আসামীর সন্ধান করিতে থাকে। এক পর্যায়ে এসআই মামুনূর রশিদ নিরলস অভিযানে ১১ জুন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় দিঘলিয়া গ্রামস্থ দিঘলিয়া আরাবিয়া কওমি মাদ্রাসা হইতে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। ধৃত আসামীর নিকট হইতে জানা যায় যে, রমজান শুরু হওয়ার ৩/৪ দিন পূর্বে রাত্রে আসামী তাহার মাথা টেপা’র জন্য ভিকটিম শাহ-পরাণ(১২)কে তাহার কক্ষে ডাকে। ভিকটিম শাহ-পরাণ (১২) তাহার কক্ষে যায় এবং আসামীর মাথা টিপে দিতে থাকে। একপর্যায়ে শাহ-পরাণ সেখানে ঘুমাইয়া পড়ে। ঐ রাত্রে উক্ত আসামী ভিকটিম শাহ-পরাণ(১২)এর সাথে সমকামিতায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে ভিকটিম শাহ-পরাণ তাহার সহপাঠি এবং মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির নিকট উক্ত সমকামিতার কথা প্রকাশ করে। এরই জের ধরে আসামী ভিকটিম শাহ-পরাণ(১২) কে কৌশলে উক্ত মাদ্রাসা থেকে শার্শা থানাধীন গোগা ইউনিয়নের গোগা গাজীপাড়া গ্রাামস্থ তাহার বসতঃঘরে নিয়া যায়। অতঃপর সেখানে ভিকটিম শাহ-পরাণ(১২)কে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং তাহার লাশ বসতঃঘরের মধ্যে চৌকির নীচে রাখিয়া দেয়। উল্লেখ্য গত ২ জুন সাড়ে ৪ টার দিকে শার্শা থানাধীন গোগা ইউনিয়নের গোগা গাজীপাড়া গ্রামস্থ মৃত মজিদ মোল্যা ছেলে হাফেজ হাফিজুর রহমান (৩৫) এর বসতঘরের মধ্যে চৌকির নিচে থেকে একই উপজেলার কাগজপুকুর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে শাহ-পরানের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এই সম্পর্কিত খবর
এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।