ঢাকাThursday , 31 January 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চট্টগ্রাম ওমরগণি এমইএস কলেজ থেকে অবসর নিলেন

Link Copied!

ড. আ. ফ. ম খালিদ হোসেন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি,
চট্টগ্রাম ওমরগণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে অবসর গ্রহন করলেন বিদগ্ধ আলিম, লেখক, গবেষক অনুবাদক ও জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক, মাসিক আত-তাওহীদ সম্পাদক ড. আ.ফ.ম. খালিদ হোসেন। বিশিষ্ট এ শিক্ষাবিদ ওই কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দীর্ঘ ২৭ বছর শিক্ষকতার পর আজ তিনি কলেজটির শিক্ষকতা জীবনের ইতি টানলেন।
বিদগ্ধ এ আলেমেদ্বীন নিজেই এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সুদীর্ঘ সময়ের স্মৃতি বিজড়িত কলেজ থেকে অবসর গ্রহনের হৃদয়গ্রাহী, স্মৃতি ও প্রীতিময় বর্ণনা দেন। এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন- আজ ৩১ জানুয়ারী’১৯ প্রথম বর্ষের অনার্সের ক্লাশ নেয়ার মাধ্যমে আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান ওমরগণি এম.ই.এস কলেজ থেকে বিদায় নিলাম। চেষ্টা করেও অশ্রæজল ধরে রাখা গেলো না। দেখতে দেখতেই ২৭টি বছর চলে গেল। টেরই পেলাম না। এরই নাম জীবনপরিক্রমা। কাল থেকে আর চিরচেনা ক্যাম্পাসে আসতে হবে না। সার্টিফিকেট মতে ৬০ বছর পূর্ণ হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিঅনুযায়ী অধ্যাপনার আর সুযোগ থাকে না। স্মৃতিকাতরতায় আমি বিমুঢ় ও বিদায়ে বেদনাপ্লুত। পেছনে রয়ে গেল অনেক স্মৃতি, অনেক কথা, অনেক ভালবাসা। ৬জন অধ্যক্ষের বাৎসল্য ও সহযোগিতা পেয়েছি। আমার সহকর্মী অধ্যাপকবৃন্দ ও কর্মচারীরা ছিলেন সবাই আমার প্রতি আন্তরিক। সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতৃবৃন্দ আমাকে সর্বদা সমীহ ও শ্রদ্ধার চোখে দেখেছে। নতুন বিভাগীয় প্রধানকে দায়িত্ব ও একাউন্ট বুঝিয়ে দিয়েছি। ১৯৯২ সালের ২২ জুলাই অধ্যক্ষ আবদুল হাই সাহেবের সহযোগিতায় আমি এ কলেজে এসেছিলাম। আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আলহামদুলিল্লাহ ২৭ বছরে আমার অর্জন অনেক। ছোট বড় বেশ ক’টি গ্রন্থ রচনা করি। কয়েকটা অনুবাদ গ্রন্থের কাজও শেষ করি। এ কলেজে শিক্ষকতাকালীন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী নিয়েছি ২০০৬ সালে। কলেজে যোগ দেয়ার অব্যাবহিত পরে সারা বাংলাদেশে বক্তা ও ওয়ায়েয হিসেবে আমার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে। বিদেশের সেমিনারের ব্যানারে আমার নামের সাথে কলেজের নাম লেখা থাকতো। কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে বসে আমার শিক্ষক ড. ইনাম উল হক সাহেব ও ড. শব্বির আহমদ সাহেবকে নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইসলামী বিশ্বকোষ ২য় সংস্করণের ৩য় থেকে ১০ম খন্ড সম্পাদনা করেছি। আজ তাঁরা জান্নাতবাসী।
বহু অধ্যক্ষ, সহকর্মী শিক্ষক ও কর্মচারীকে হারিয়েছি। আজ তাঁদের কথা বেশি করে মনে পড়ছে। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন অধ্যক্ষ এ এ রেজাউল করিম চৌধুরী, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন খান, অধ্যক্ষ আজিজুল বারি, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম (অর্থনীতি), অধ্যাপক আওরঙ্গজেব চৌধুরী (ব্যবস্থাপনা), অধ্যাপক গোলাম নবী (ইংরেজী), অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুছ (দর্শন), অধ্যাপক ইস্কান্দার (হিসাব বিজ্ঞান), অধ্যাপক আনোয়ারুল হক কাদেরী (ইতিহাস), অধ্যাপক আযিয উদ্দিন আহমদ (বাংলা), অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন (বাংলা), প্রদর্শক কামরুল হাসান ও প্রদর্শক মুর্শিদ কুলি। অনেকে অবসরের পর আবার অনেকে চাকুরিরত অবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা তাঁদের জান্নাতবাসী করুন।
আগামী মাসে বিভিন্ন বিভাগে ১১জন নতুন শিক্ষক স্থায়ীপদে যোগ দেবেন। তালিকা এসেছে। আমরা পুরনোরা চলি যাচ্ছি, নতুনদের জন্য আসন খালি করে দিচ্ছি। এটাই পৃথিবীর চিরন্তন রীতি।এটা না মানার সুযোগ নেই। দোয়া চাই অবসর জীবন সুন্দর ও প্রীতিময় হোক, ভরে উঠুক বাকিদিন সুস্থতার স্নিগ্ধতায়। সুস্থতা সাপেক্ষে অবশিষ্ট সময় ধর্মচর্চা, ওয়ায-নসীহত, দেশভ্রমণ, অনুবাদ ও সাহিত্যচর্চায় মগ্ন থাকতে চাই। বাকি আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।