শ.ম.গফুর,উখিয়া(কক্সবাজার) থেকে
তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জনজীবন। প্রখর রোদের প্রচন্ড তাপদাহে ওষ্ঠাগত দিন যাচ্ছে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের।ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে তাদের। বেড়েই চলছে তাপমাত্রা। সূর্যের প্রখর তাপ আর ভ্যাপসা গরমে ক্লান্ত আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জীবন। একদিকে তাপদাহ, অপরদিকে বৃষ্টিহীন দিন-রাত। ত্রিপলে ছাউনী,স্যাতঁসেতে পরিবেশ,ঘনবসতি,গাছপালা বিহীন ন্যাড়া পাহাড়ে সীমিত পরিমাপের ঠাসা বস্তি।
ঘরে বাইরে কোথাও স্বস্তিতে থাকতে পারছে না তারা। তীব্র তাপদাহ রোহিঙ্গা জনজীবনে দুর্ভোগ বয়ে দিচ্ছে। এবারে বৈশাখের দিন না আসতেই গরম পড়তে শুরু। জৈষ্ঠ্যের শুরুতেই না হতেই আগেই অনুভূত হতে থাকে। যার ধারাবাহিকতা টানা সপ্তাহ ধরে রয়েছে। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, জ্বরসহ নানা রোগব্যাধিতে। কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস বলছে, মৃদু তাপদাহ বইছে। এ অবস্থা আর কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। মৌসুমী বায়ু যোগ হলেই গরমের দাপট কমে যাবে।কাঠফাটা রোদে স্বস্তি নেই কোথাও। ঘর থেকে বাইরে বেরুলেই মনে হয় অগ্নিকুন্ডু। শরীর ভিজে ঘামে একাকার হয়ে যায় এমন কথা বলেন,রোহিঙ্গা ক্যাম্প ম্যানেজমেন্ট কমিটির সেক্রেটারী মো: নুর।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে উখিয়ার কুতুপালং,মধুরছড়া,লম্বাশিয়া,তে
এদিকে প্রচন্ড গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, জ্বরসহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থাপিত হাসপাতাল সমুহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী প্রতিদিনই কমবেশি ভর্তি হচ্ছে। এরমধ্যে বয়স্ক ও শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট প্রচন্ড গরমের কারণে সর্দি কাশিসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়া শিশুদের নিয়ে রোহিঙ্গা বাবা – মাতা শরনাপন্ন হচ্ছেন। যেসব শিশুর অবস্থা জটিল তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মো: আবদুস সালাম জানান, এই সময়ে পানি খাওয়া ও ব্যবহারে বেশ সতর্ক হতে হবে। রাস্তার পাশে ফুটপাতের পানীয় শরবত ও ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।