ঢাকাMonday , 6 May 2019
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোবিন্দগঞ্জে ফেলনা কাগজ থেকে তৈরি হচ্ছে নিউজপ্রিন্ট, কর্মসংস্থান হয়েছে ৫শতাধিক শ্রমিকের!

Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ফেলনা কাগজ থেকে তৈরি হচ্ছে নিউজপ্রিন্ট। টোকাইয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ বিপুল পরিমাণ ফেলনা কাগজ দিয়ে রাজা পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিল। এই পেপার মিলে প্রতিদিন গড়ে ৩০ টন নিউজপ্রিন্ট ও মিডিয়াম পেপার উৎপাদন হচ্ছে। এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৫০০ শ্রমিকের। শ্রমিকেরা জানান, শহর থেকে দূরে কামারদহ ইউনিয়নের চাঁপড়ীগঞ্জ এলাকায় এই কারখানা গড়ে ওঠায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের বেকার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু রাজা পেপার এন্ড বোর্ড মিলস্ নয়; ফেলনা ও পুরাতন কাগজ থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নিউজপ্রিন্ট ও মিডিয়াম পেপার উৎপাদন হচ্ছে পাশ্ববর্তী জেলা বগুড়ার বড় ৬টি পাল্প এন্ড পেপার মিলস কারখানায়। বিগত তিন বছরে গড়ে ওঠা এসব কারখানার প্রতিটিতে দৈনিক গড়ে ৪০ থেকে ৫০ টন কাগজ উৎপাদন হচ্ছে। সব মিলিয়ে রাজা পেপার এন্ড বোর্ড মিল কারখানায় কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৫শতাধিক শ্রমিকের। কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে উৎপাদন ও বিপণন পর্যন্ত প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে রাজা পেপার মিলের বদৌলতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে প্রায় ১০ হাজার মানুষের।

সরেজমিন খোঁজ-খবর নিয়ে ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সামপ্রতিক সময়ে গোবিন্দগঞ্জে ২ বছর আগে গড়ে ওঠা বৃহত উৎপাদন ইউনিট নিয়ে রাজা পেপার মিলস্ কারখানা গড়ে উঠেছে। এ কারখানায় পুরোদমে উৎপাদন ও শুরু হয়েছে। এরমধ্যে ২০০৯ সালে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের টিএমএসএস-এর প্রধান কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় গড়ে ওঠে বিসিএল পেপার মিলস্। বগুড়া শহরতলীর এরুলিয়া এলাকায় গড়ে ওঠে হাসান পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস্, বগুড়া দুপচাঁচিয়া সড়কের পাশে আজাদ পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস, বগুড়া-কাহালু সড়কের পাশে গড়ে ওঠে কিবরিয়া পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়া বাজারে গড়ে ওঠে সূচি পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস্।

এতে প্রতিষ্ঠানটিতে বেকার যুবকদের পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে নারীদের কর্মসংস্থান।

রাজা পেপার এন্ড বোর্ড মিল সত্ত্বাধিকারী খন্দকার মিজবাউল হক রন্টু জানান, আমার কারো ক্ষতি করার জন্য এখানে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলিনি, আমাদের প্রতিষ্ঠানে বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য ইটিবি স্থাপন করেছি, খাল দিয়ে এখন শুধু পানি যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এ ধরনের কাগজ ও বোর্ড এক সময় বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। এখানে উৎপাদিত কাগজের মান তার চেয়ে ভাল হওয়ায় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন এ ধরনের কাগজ তৈরির প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ানো গেলে দেশের অর্থনীতিতে ভাল ভূমিকা রাখবে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।