ঢাকাSunday , 24 January 2021
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোপালগঞ্জ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে সম্ভবনার দ্বার খুলে দেবে

Link Copied!

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :
গোপালগঞ্জে পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদারের লক্ষ্যে ১৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রটি চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলা করে ভাসমান কৃষি, জলমগ্ন কিঞ্চিৎ লকণাক্ত আবাদী জমিতে বৈচিত্রপূর্ণ ফসল আবাদের পাশাপাশি কৃষির বৈচিত্র নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষকদের কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
পাশাপাশি গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গবেষকদের গবেষণার চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানাযায়, দেশের দক্ষিণা-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাসমূহের কৃষির উন্নয়নে গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ, নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন, গুনগতমান সম্পন্ন বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ, নতুন জাতের ফসলের উপযোগিতা ও সম্ভবতা যাচাই, ফল, সবজি, ডাল, আলু, তৈলবীজ, গম, ভুট্টা, নারিকেল, তাল ও খেজুরের উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষকদের আয়বৃদ্ধি এবং মাঠ দিবস, সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন করে বারি ও ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত উন্নত জাত ও প্রযুক্তির বিস্তার ঘটাবে।
প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এম এম কামরুজ্জামার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ অঞ্চলের কৃষি ও কৃষক হুমকির মধ্যে রয়েছে ।দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩টি বিভাগের ৫ জেলার ৩৮টি উপজেলার কৃষি উন্নয়নই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। ২০১৮ সালে গোপালগঞ্জে এ পূর্ণাঙ্গ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পটি হাতে নেয় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)। আগামী ২০২৩ সালে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের আওতায় বারি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল, বিভিন্ন উন্নত জাতের ফসলের ২ হাজারটি উপযোগিতা যাচাই ও পরীক্ষাসহ ১১৬ হেক্টর জমিতে প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে। এসব প্লটে সব ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১১৪টি মিশ্র ফলের বাগান গড়ে ওঠেছে। বিভিন্ন জাতের ১০ হাজার ফলের চারা বিতরণ করা হয়েছে। সাড়ে ৬ হাজার কৃষকের মাধ্যে শাক, সবজি ও বীজ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে ডেল্টা প্লানের আধুনিক টেকসই চাষাবাদ পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় পূর্ণাঙ্গ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ইতিমধ্যে ভ’মি উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পে শিক্ষার্থী, স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষকদের জন্য আধুনিক যুগোপযোগী কৃষি যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ গবেষণাগার স্থাপন করা হবে। গবেষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নির্মিত হবে কোয়ার্টার ও আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত পরিবেশ বান্ধব অফিস ও অতিথি ভবন।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শেখ রুহুল আমিন বলেন, আমাদের এ অঞ্চলে ধাপের উপর সবজি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। আগে এ পদ্ধতিতে আমাদের এলাকায় কোন চাষাবাদ হতো না। জাতির পিতার জম্মস্থানে আধুনিক কৃষি গবেষণার জন্য একটি পূর্ণঙ্গ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন হচ্ছে যা অত্যান্ত আশার কথা। এতে নতুন নতুন জাতের ফল ও ফসলের জাতের উদ্ভাবন ও আবাদের পাশপাশি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কৃষিতে সমৃদ্ধি আসবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ের কৃষি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড.মো: জাহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, গোপালগঞ্জ এলাকা কোস্টল/ সাব কোস্টাল এরিয়া। এখানের বেশিরভাগ এলাকা পানিতে ডুবে যায় যার কারনে সব ধরনের শষ্য উ্ৎপাদন করা যায় না । কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপিত হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ এই এলাকায় গবেষনার মাধ্যমে নতুন নতুন ধরনের শষ্য উ্ৎপাদন করা যাবে। এতকরে।এলোকার কৃষকেরা আর্থ সামাজিক ভাবে উন্নত হতে পারবে। তাছাড়া কেন্দ্রটি স্থাপিত হলে এখানে বিশ্বদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গবেষনা করার সুযোগ লাভ করতে পারবে। পাশাপাশি নতুন নতুন জাতের উদ্ভাবনসহ বেকারত্ব নিরসন করা সম্ভব হবে।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম বলেন, গোপালগঞ্জে যুগোপযোগী একটি পূর্নাঙ্গ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।গবেষনায় নতুন নতুন জাতের জলবায়ূর ঝুঁকি মোকাবেলায় সক্ষম ফসলের উদ্ভাবন ও আবাদ হবে। ফলসের অধিক উৎপাদন বাড়বে। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি ও কৃষকের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।