ঢাকাFriday , 27 March 2020
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোপালগঞ্জে করোনা আক্রান্ত কেউ সনাক্ত হয়নি! কাটেনি আতঙ্ক

Link Copied!

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এমন কোন ব্যাক্তিকে সনাক্ত করা যায়নি।এধরনের কমপ্লেন বা উপসর্গ নিয়েও কেউ যোগাযোগ করেনি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ বিভাগ।

তারপরও জনমনে করোনা অতঙ্ক চরমভাবে বিরাজ করছে। শহরে রাস্তা-ঘাট, আলি-গলি জনমানব শূন্য হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে মার্কেট, প্লাজা, শপিং কমপ্লেক্সসহ হোটেল রেস্তরা ও চায়ের দোকান। সরকারের নির্দেশনা মেনে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে মানুষ বাসা-বাড়ী বের হচ্ছে না। বাতিল করা হয়েছে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সকল কর্মসূচী।

গোপালগঞ্জ পৌরসভার ঘুল্লিবাড়ী এলাকার বাসিন্দ জিহাদ খান (৫২) বলেন, ভাইরাসটি ছোঁয়াচে। তাই সরকারের নির্দেশনা মেনে বাড়ী থেকে কেউ বের হচ্ছে না।

শহরের ঘোষের চর এলাকার গৃহবধূ কাজী সখি বরেন, আমরা ছেলে মেয়েদের নিয়ে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। আমি বাড়ী থেকে বের হচ্ছি না। হোম লক ডাউন মেনে চলছি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফাঁকা হয়ে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। আতঙ্কে আধিকাংশ রোগী নিজ থেকেই হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছে। গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে খোলা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড।

জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ জনসচেতনতা সৃষ্টি ও আতঙ্ক প্রশমনে সার্বক্ষনিক কার্যক্রমের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং ও সুপারভিশন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বে-সরকারি প্রশাসনের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে সেনাবাহিনীও রয়েছে তৎপর। বাজার দর নিয়ন্ত্রনে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের অনুসন্ধান করে হোম করেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। শহরের রাস্তা-ঘাট, অলি-গলি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে জীবাণূনাশক ছিঠিয়ে ভাইরাসমুক্ত করার কার্যক্রম পরিচালনা করছে পৌরসভা ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কার্যক্রম।

অপরদিকে, শহরের বিভিন্ন ফার্মেসীতে সার্জিক্যাল গ্লাভস্ ও হ্যান্ড সেনিটাইজারের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনেও মানুষ শহরের ফার্মেসীগুলোতে গিয়েও এসব কিনতে পারছে না।

গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ড. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কেউকে সনাক্ত করা যায়নি।বুধবার পর্যন্ত হোম কোরেন্টাইনে আছে ৩’শ৪৯ জন। পাঁচটি উপজেলায় স্বাস্থ্য কর্মীরা ডোর স্টেপের মাধ্যমে কারো শরীরে করোনার উপসর্গ আছে কিনা যাচাই-বাছাই করছে জেলা সদরে ৫০ শয্যার একটি এবং পাঁচটি উপজেলায় পাঁচটি করে শয্যা আক্রান্তদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, জেলায় ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় পিপিই’র সংকট নেই। আক্রান্ত হয়েছে এমন কেউ সনাক্ত হলে আইইডিসিআর’র সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবেবলেও তিনি জানান।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।