ঢাকাSunday , 8 April 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গাইবান্ধায় মোহনার ১১৪তম সংগীতানুষ্ঠান

Link Copied!

গাইবান্ধা সদর প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শিকড় সংগঠন।
মোহনা আসে-মোহনা যায়, এক এক মাসে একেক রকম চমক নিয়ে। এবারের একটা বড় ধরনের চমক ছিল গাইবান্ধার নাট্যকর্মী ও সংগীত শিল্পী টিটু কর্মকারের মোহনায় গান গাওয়া। সংগীতপ্রিয় মানুষ অতি উৎসুক হয়ে চলে আসে গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে। একেবারেই হাউজফুল।

অতপর টিটুর ভরাট কন্ঠের সুরের গানে যেন তাক লাগিয়ে গেল দর্শক শ্রোতা। তিনি যে একজন পরিপূর্ণ কন্ঠ শিল্পী তা কেহই জানতো না। নিজেকে বেজায় আড়াল করে রাখতেন তিনি যা উপস্থাপকদের মাধ্যমে জানা গেল। কিশোর কুমার, কুমার শানু, এন্ড্রু কিশোর, বাপ্পী লাহিড়ী ও আব্দুল হাদীর গানগুলো তিনি অতি সাবলিলভাবে গাইলেন একের পর এক। সেই সঙ্গে ছিলেন কুড়িগ্রাম থেকে আগত অতিথি শিল্পী পারুল হক। তিনিও ভিন্ন স্বাদের গানগুলি পরিবেশন করে দর্শকদের করতালি পেলেন বার বার।

মোহনার এই সমস্ত চমক হয়ে গেল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে। বিশিষ্ট গীতিকার, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক অধ্যাপক অমিতাভ দাশ হিমুন এবং মোহনার সহকারী পরিচালক রিক্তু প্রসাদের উপস্থাপনায় শুরু হয় এই মোহনা। বিরাঙ্গনা ফেরদৌসী প্রিয়ভাসিনি’র মৃত্যুতে তার আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে সকলে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করেন। দুজন শিল্পীকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়া হলো মোহনা কর্তৃক।

টিটুর গাওয়া গানগুলির সিলেকশন ছিল চমৎকার। তিনি বাপ্পীর ‘জীবনটা কিছু নয়…., কুমার শানুর তোমার সুরে সুর বেঁধেছি…, কিশোরের ‘যারে আমি চোখে দেখিনি… প্রভৃতি গান গেয়ে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করলেন। অপরদিকে পারুল হকের গানের সিলেকশনগুলিও ছিল চমৎকার। তিনি আশা ভোসলে’র আর কত রাত একা থাকবো.., ফেরদৌসী রহমানের- কথা বলো-না বলো ওগো বন্ধু…., প্রভৃতি গান গেয়ে চমক লাগিয়ে দিলেন দর্শকদের। পারুল হকের সঙ্গে ওস্তাদ শামসুল ইসলাম সুমন এসেছিলেন। তিনি যে এতো চমৎকার কী বোর্ড বাজাতে পারেন তা কল্পনাও করা যায়নি। আরেকজন কী বোর্ডে ছিলেন গাইবান্ধার প্রিয় মুখ মিজানুর রহমান মিলন। তবলায় ছিলেন গাইবান্ধার বিশিষ্ট তবলা শিল্পী মাহমুদ সাগড় মহব্বত এবং প্যাাডে ছিলেন মানিক বর্মন। গীটারে বিভিন্ন সময়ে লীড নেয়া ও মন মাতানো বাজনায় বাজিয়েছেন গাইবান্ধার কৃতি সন্তান রিপন চৌধুরী যিনি দেশ বিদেশে ইতোমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।

অনুষ্ঠান শেষে টিটু কর্মকারকে ক্রেস্ট দিয়ে ভালবাসায় সিক্ত করলেন তারই ওস্তাদ আসাদুল হক শাফি এবং পারুলকে ক্রেস্ট দিলেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও প্রশিক্ষক খাজা সুজন।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।