ঢাকাFriday , 26 June 2020
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার উপরে

Link Copied!

রুহুল আমিন রুকু, স্টাফ রিপোর্টার: একদিকে করোনা অপর দিকে বন্যায় মহা দূর্ভোগে দিন যাচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলার অধিকাংশ চরাঞ্চলের মানুষ। কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা এই দুটি নদ-নদী অববাহিকার নিম্নাঅঞ্চলের অন্তত শত শত পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর, রাজারহাট ও নাগেশ্বরী উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। কুড়িগ্রাম সদর মোগলবাসা ইউনিয়নের চর সিতাইঝাড় চরকৃষ্ণপুর পাঁচগাছী ইউনিয়নের, উত্তর কদমতলা সিতাইঝাড়, ছত্রপুরের কিছু অংশসহ বেশ কিছু গ্রাম পানি বন্দি হয়েছে। পাঁচগাছী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন এই গ্রাম গুলো পানি বন্দি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের মৌসুমী ফসল ও সবজি ক্ষেত। এসব অঞ্চলের মানুষ কলাগাছের ভেলা এবং স্থানীয় নৌকায় করে উচু জায়গায় আশ্রয় নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

কুড়িগ্রাম সদর পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাইঝাড় এলাকার মজিবর রহমান বলেন, হঠাৎ বন্যা আসার কারণে আমার দুই বিঘা জমির পাট ডুবে যাচ্ছে তাই পরিপূরক না হতেই পাট কেটে নিচ্ছি। এবার পাট চাষে লাভ তো দূরের কথা আসলেই উঠবে কিনা জানিনা।

ওই ইউনিয়নের নওয়াবশ গ্রামের আয়নাল হক জানান, গত দুইদিন ধরে আমার পরিবার পানি বন্দি হয়ে আছি বাড়ি থেকে বাহির হতে পারছি না। আমার নৌকা ও কলা গাছের ভেলা না থাকায় গত দুইদিন ধরে বাজারে যেতে পারছি না। আজ যেভাবেই হোক না কেন বাজার যেতে হবে না গেলে ছেলে-মেয়েদের কি খাওয়াবো। উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মাস্টার আকেল মামুদ মশালের চর বুড়াবুড়ী ইউনিয়নের উত্তর ও পূর্ব চর অঞ্চল সহ জেলার বিভিন্ন যাতায়াতের কাঁচা রাস্তা অধিকাংশ তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে এভাবে পানি বৃদ্ধি হলে দুই-একদিনের মধ্যে লোকজনের চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বেগম ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন তলিয়ে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

“এনবিনিউজ একাত্তর এর সর্তক বানী”
 
এনবিনিউজ একাত্তর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।.

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।