চলতি বন্যায় ৩টি পৌরসভাসহ ৫৫টি ইউনিয়নের ৩৫৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে সরকারিভাবে ৬২ হাজার ৪শ’ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছে। বন্যায় ভাঙনে বিলিন হয়েছে ২ হাজার পরিবার। বন্যার ফলে ৬ হাজার ৮৮০ হেক্টর আবাদি জমির ফসল নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৬ হাজার ১শ’টি। এছাড়াও প্রায় ৩০ কিলোমিটার বাঁধ ও ৩৭ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে তিস্তার ভাঙনে উলিপুরের নাগরাকুড়া টি বাঁধের ব্লক পিচিংসহ ৫০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে সারডোব, নুনখাওয়া মোগলবাসা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ ১৫টি স্পটে। পানির চাপে বাঁধ ভেঙে রৌমারী উপজেলা শহর প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লার হাট বালা ডোবা গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদী হানায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার সাহা জানান, জেলার দুর্গত মানুষদের সহায়তার জন্য ৯ উপজেলায় ৩০২ মে.টন চাল ও ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। যা বিতরণ পর্যায়ে রয়েছে।