ঢাকাWednesday , 16 June 2021
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কালিয়াকৈরে হাটগুলোতে বাড়তি খাজনা আদায়ের অভিযোগ

Link Copied!

 

রেজুয়ান খান রিকন, গাজিপুর: বাড়তি খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার আঞ্চলিক হাট বাজারগুলোর ইজাদারদের বিরুদ্ধে। তারা নির্ধারিত চার্ট ছাড়াই অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে বলে জানান হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, উপজেলার বড়ইবাড়ী বাজার, ফুলবাড়িয়া বাজারসহ বেশকিছু বাজারে নিয়ম বহির্ভূত খাজনা আদায় করছে হাটের ইজারাদাররা। হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে থেকে অধিক খাজনা আদায় করা হলেও কোনো প্রকার রসিদ দিচ্ছেন না ইজারাদাররা। এদিকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হাটের বিভিন্ন স্থানে পণ্যের উপর নির্ধারিত খাজনা আদায়ের চার্ট বা বিলবোর্ড লাগানোর কথা থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে তা পাওয়া যায়নি। চাহিদা মতো খাজনা না দিলে হুমকির অভিযোগ উঠেছে খাজনা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা হচ্ছে নির্ধারিত খাজনার চেয়েও অনেক বেশি। আর তাই দূর-দূরান্ত থেকে বেচা-কেনা করতে এসে অনেকটাই বিড়ম্বনায় পড়ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও বেপারীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বড়ইবাড়ী বাজারে সপ্তাহে মঙ্গলবার হাট বসে। হাটের ইজারাদার ওই এলাকার জহির খান। টেন্ডার অনুযায়ী পুরো হাটের ইজারাদার তিনি। ইজারা পাবার পরেই হাটের খাজনা দ্বিগুণ বাড়িয়েছেন বলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। ইজারা আদায়কারীর চাহিদা মতো খাজনা না দিলে ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এছাড়াও হাট থেকে তিন-চার কিলোমিটার দূরে গিয়েও প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ব্যাপারীর কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছেন ইজারাদার জহির।
ব্যাপারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাটের ভেতর অতিরিক্ত খাজনা আদায় করে। আবার হাট থেকে দূরে অন্য এলাকায় এসেও জোর করে খাজনা নেয় এটা কোন বিধানে আছে।
আসলাম নামে এক খুচরা ব্যবসায়ী জানান, প্রতি মঙ্গলবারে হাটে আসি বেচা-কেনা করতে। যা বিক্রি করি তার অর্ধেক খাজনা দিতেই যায়।
সফি উদ্দিন নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, অল্প কিছু সবজি নিয়ে হাটে আসি। আগে খাজনা দিতাম ২০ টাকা এখন দিতে হয় ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এটা আমাদের মতো খুচরা বিক্রেতাদের কাছে জুলুম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পান সুপারি বিক্রেতা বলেন, বাজান এই হাটে পান সুপারি বেইচা বুড়া হইয়া গেছি। এতো খাজনা আগে কেউ নেয় নাই। এহন মেলা খাজনা দেওয়া লাগে। খাজনার ভারে হাট মরা মরা লাগে বেচা বিক্রি নাই।
ওই বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, আগে মাছের খাড়ি প্রতি দিতে হতো ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এখন খাড়ি বসালেই ৫০০ টাকা করে দিতে হয়। জুলুম করে খাজনা আদায়ের জন্য আগের মতো হাট হয় না এখন আর।
এ বিষয়ে বড়ইবাড়ী বাজার কমিটির সভাপতি লোকমান সিকদার জানান, হাটের বাইরে গিয়ে খাজনা আদায়ের নিয়ম নেই। আর নিয়মের বাইরে খাজনা আদায় করা অপরাধ।
তবে বড়ইবাড়ী বাজারের ইজারাদার জহির খান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অন্যান্য বাজারের চেয়ে আমি খাজনা কম আদায় করি। কিছু লোক আছে যারা অহেতুক এসব কথা বলে বেড়ায়।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমীন বলেন, হাটের বাইরে খাজনা আদায় করার নিয়ম নেই। যারা বাজারে বসবে না তারা টাকা দেবে কেন। এছাড়া হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হচ্ছে এমন ভুক্তভোগী কেউ অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।