মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
মৌলভীবাজার জেলার হেলথ এইডের আওতাধীন। কমলগঞ্জ উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। ড্রেইন সংস্কারের কাজে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে গায়ের জোর ও সরকার দলের প্রভাব খাটিয়ে। সম্পূর্ণ নিম্নমান তিন নাম্বার ইটের কংক্রিট,পলিযুক্ত বালু ইট ব্যবহার করছে। ১৪ লক্ষ টাকার বাজেটে দরপত্রের মাধ্যমে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি টিকাদারী প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানকে এই কাজ দেয়া হয়েছে। এলাকার সচেতনদের আপত্তির মুখে কয়েক দফায় কাজটি বন্ধ ছিল। বর্তমানে ছয়নয় করে কাজটি শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় ২ লক্ষ টাকার কার্য সম্পাদন করে না করেই এই সেফ লেফ শুরু হয়েছে।এতে করে স্থানীয়দের মনে কাজের নিম্নমান থাকায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে হাসপাতালের লোকজনের সাথে কথা বললে জানা যায় সরকারি-বেসরকারি কোন ইঞ্জিনিয়ার এবং সাইটের ঠিকাদার,সাইটে না থেকে তৃতীয় আরেক জনকে দিয়ে তিনি কাজ পরিচালিত করছেন। সেই ব্যক্তি ফারুক মিয়া কাজের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে,ডালাইয়ের থিকনেচ, ছয় ইঞ্চির জায়গায় দুই ইঞ্চি। দশ ইঞ্চি ইট গাথুনির জায়গায় পাচ ইঞ্চি এবং ইট গাঁথুনি দিয়ে আবার সেই গাঁথুনি যাতে, দশ ইঞ্চি বুঝা যায় তার জন্য সি সি ঢালাই দিয়ে পাচ ইঞ্চির গাথুনি কে ডেকে দিচ্ছেন। সমস্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ময়লা আবর্জনা যে ড্রেইন দিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে, সেই ড্রেইন এর গভীরতা নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ রয়েছে,এমন গুরুতর অভিযোগ মুঠোফোনে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া কে অবগত করলে। কাজটি তিনি পরিদর্শনে গিয়ে ডালাই খুড়েই দেখে এর নিন্দা জানান। স্থানীয় কাউন্সিলর দেওয়ান আব্দুর রহিম রহিম মুহিন বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের সিডিউল এলাকাবাসি দেখতে চাইলে তা না দেখানোর কারণে এবং কাজ নিম্ন মানের দেখে আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আপত্তিতে কাজ বন্ধ ছিলো। কমলগঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কাজটি মৌলভীবাজার জেলা নিয়ন্ত্রাধীন তাকায় বিষয়টি আমরা অবগত নয়
এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।