ঢাকাTuesday , 27 March 2018
  • অন্যান্য
  1. আন্তর্জাতিক
  2. করোনা আপডেট
  3. খেলাধুলা
  4. জাতীয়
  5. জেলার খবর
  6. দেশজুড়ে
  7. নির্বাচনের হাওয়া
  8. প্রচ্ছদ
  9. প্রচ্ছদ
  10. ফিচার
  11. বিনোদন
  12. রাজনীতি
  13. শিক্ষা
  14. সকল বিভাগ
  15. স্বাস্থ্যর খবর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কক্সবাজারে রোহিঙ্গার কারণে ৯ লাখ মানুষ খাদ্যঝুঁকিতে পড়েছে

Link Copied!

শ.ম.গফুর,উখিয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
কক্সবাজার জেলার ৯ লাখ মানুষ খাদ্য ঘাটতির ঝু্ঁকির আশংকায় রয়েছে।ফুড সিকিউরিটি ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক নামক একটি সংস্থারর গবেষণা প্রতিবেদন এমনটাই উঠে এসেছে। জেলায় ২৩ লাখ স্থানীয় বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ৯ লাখ মানুষ খাদ্যঝুঁকিতে পড়েছে।মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা ওই জেলায় আশ্রয় নেওয়ার পর সেখানে কর্মসংস্থান ও খাদ্য পাওয়ার সুযোগ কমে গেছে। বেশির ভাগ খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। ফলে স্থানীয় লোকজন খাদ্যঝুঁকিতে পড়ে গেছে।
গত বছর দেশের উত্তর, মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলের ১০টি জেলায় ধারাবাহিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আরও ২২ লাখ মানুষ নতুন করে খাদ্যঝুঁকিতে পড়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ৩৪ লাখ মানুষ খাদ্যঝুঁকিতে ও ৩১ লাখ মানুষ খাদ্যঝুঁকির চাপে আছে।বিশ্বের খাদ্যনিরাপত্তাবিষয়ক জোট ফুড সিকিউরিটি ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক থেকে প্রকাশ করা বৈশ্বিক খাদ্যঝুঁকি প্রতিবেদন-২০১৮-তে এসব কথা বলা হয়েছে। গতকাল শনিবারজাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ইফপ্রি)সহ ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা যৌথভাবে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে বিশ্বের ৫১টি দেশের ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ নতুন করে খাদ্যঝুঁকিতে পড়েছে। এর মধ্যে বড় ধরনের খাদ্যঝুঁকিতে আছে ২৩টি দেশের মানুষ। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের ১০ জেলা, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের ৪ জেলা, আফগানিস্তান, বুরুন্ডি, ইথিওপিয়া, হাইতি, ইরাক, কেনিয়া, চাদ রিপাবলিক, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মালাও, মোজাম্বিক, ফিলিস্তিন, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান,সুদান, সোয়াজিল্যান্ড, সিরিয়া, উগান্ডা, ইউক্রেন, ইয়েমেন ও জিম্বাবুয়ে।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে খাদ্যের কোনো সংকট নেই। কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠী যে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় পড়েছে তা আমলে নিয়ে সরকার সেখানে পাঁচ মাসের জন্য দুই হাজার টন চাল সরবরাহ করেছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে সেখানে অন্যান্য খাদ্য ও উপকরণের সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। মূলত ২০১৭ সালে তিন দফা বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও পাহাড়ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। এতে চালের দাম বেড়ে যায় ও ঘাটতি দেখা দেয়। ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণে চাল বিদেশ থেকে আমদানি করছে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ বাড়ছে।বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর সাধারণ মানুষের আয়ের ৬৫ শতাংশ অর্থ চাল কিনতে ব্যয় হয় উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দারিদ্র্যপ্রধান ওই ১০ জেলার ৬০ শতাংশ মানুষের পেশা কৃষি ও মজুরি শ্রম। এরা বছরের সব সময় কাজ পায় না। এর সঙ্গে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ওই গরিব মানুষেরা আরও বিপদে পড়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ বলেন, বাজারে চালের সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। বেশ কিছু এলাকার দরিদ্র মানুষের চাল কেনার ক্রয়ক্ষমতায় সমস্যা আছে। আর মার্চ ও এপ্রিলের এই সময়ে বাজারে চালের দাম কিছুটা বেশি থাকে। ফলে সরকারের উচিত গ্রামীণ পর্যায়ে খোলাবাজারে চাল (ওএমএস) এবং সাধারণ ত্রাণ (জিআর) খাতে সহায়তা বাড়ানো।খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গত বৃহস্পতিবারের দৈনিক খাদ্যশস্য পরিস্থিতি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাজারে মোটা চালের দাম কেজিতে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা। গত তিন মাস ধরে চালের ওই দাম স্থির রয়েছে। গত বছরের একই সময়ে মোটা চালের দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। গত বছরের মে মাসের মধ্যে দাম বেড়ে ৫০ টাকায় পৌঁছায়। সরকার বিদেশ থেকে প্রায় ১৫ লাখ টন চাল আমদানির উদ্যোগ নেয় এবং বেসরকারি খাতে চালের আমদানি শুল্ক উঠিয়ে দেয়। এতে চালের দাম সামান্য কমলেও গরিব মানুষের জন্য তা সহনশীল হয়ে ওঠেনি।

এনবিনিউজ একাত্তর ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।