কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের উলিপুরে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল নবম শ্রেনী পড়ুয়া ছাত্রি জবা আক্তার(১৪)। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের দক্ষিন সাদুল্ল্যা আকইরপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, ওই গ্রামের বাবলু মিয়ার কন্যা থানাহাট এ.ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী জবা আক্তারের সাথে একই ইউনিয়নের তাউরাসের বাজার এলাকার রোস্তম আলীর পূত্র আল আমিনের সাথে বিয়ে ঠিক হয়। গত সোমবার রাতে এজন্য বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনে পক্ষের লোকজনের খাওয়া-দাওয়া শেষে বরপক্ষের লোকজনের অপেক্ষা চলছিল তখন।এমন সময় বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন করিব পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হলে কনেসহ অন্যরা গা-ঢাকা দেন। কিন্তু বিয়ের পিঁড়িতে মেয়ের বড় ভাই জয়নালের স্ত্রী অনার্স পড়ুয়া ভাবী ফারজানা আক্তার বধু সেজে বসে থাকেন। পরে তাকে আটক করলে সে বাড়ির লোকজনের চাপে ম্যাজিষ্ট্রেটের হাত থেকে ননদকে বাঁচাতে বধু সাজেন বলে জানান। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বরপক্ষ বিয়ে বাড়িতে না এসে সটকে পড়েন। পরে ওই ইউপি’র চেয়ারম্যান ওয়াদুদ হোসেন মুকুলের উপস্থিতিতে কনের বাবা বাবলু মিয়ার ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বিয়ে না দেয়ার শর্তে ছেড়ে দেয়া হয়। কনের বদলে ভাবী বধু সেজে বসে থাকার ঘটনাটি ছড়িলে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।